ই-পাসপোর্ট কি
ই-পাসপোর্ট (e-passport) একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট, যাতে একটি মাইক্রোচিপ থাকে। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান ইত্যাদি সংরক্ষিত থাকে।
.
আন্তর্জাতিকভাবে ICAO মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি
১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত পাওয়া যায়
দ্রুত প্রসেসিং সুবিধা
ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে
.
ই-পাসপোর্টের জন্য যা যা প্রয়োজন
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সময় নিচের কাগজপত্র সংগ্রহে রাখুন:
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্মসনদ (১৮ বছরের নিচে হলে)
আগের পাসপোর্ট (যদি থাকে)
জন্ম নিবন্ধনের সনদ
SSC/Equivalent সার্টিফিকেট (সাধারণত প্রয়োজন হয় না, তবে তথ্য যাচাইয়ের জন্য লাগতে পারে)
পাসপোর্ট সাইজ ছবি (যদি অনলাইন আবেদন করেন, তবে ফটো তোলা হয় অফিসে)
অনলাইন পূরণ করা আবেদন ফর্ম প্রিন্ট কপি
চলুন যেন নেই ই-পাসর্পোটের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া
প্রথেমে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন অথবা আপনার কম্পিউটার যেকোন বাউজারে যান । এই সরকারি ওয়েবসাইটে যান https://www.epassport.gov.bd/

একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন
Apply Online এ ক্লিক করুন
আপনার নাম, ইমেইল, মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন
ইমেইলে ভেরিফিকেশন কোড আসবে, তা দিয়ে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করুন
আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা, এনআইডি নাম্বার দিন
আগের পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য দিন
কোন অফিস থেকে পাসপোর্ট তুলবেন, তা নির্বাচন করুন
ফি পরিশোধ
কয়েক টি মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যায় ।
মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে যেমন –
- বিকাশ
- নগদ
- রকেট
ব্যাংকের মাধ্যমেও আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন ।
💳 ই-পাসপোর্ট ফি কত?
মেয়াদ ও পৃষ্ঠা সংখ্যা | সাধারণ (21 কার্যদিবস) |
জরুরি (10 কার্যদিবস) |
অতি-জরুরি (2 কার্যদিবস) |
---|---|---|---|
৫ বছর, ৪৮ পৃষ্ঠা | ৳৪,০২৫ | ৳৬,৯০০ | ৳৮,৬২৫ |
৫ বছর, ৬৪ পৃষ্ঠা | ৳৫,৭৫০ | ৳৮,৬২৫ | ৳১০,৩৫০ |
১০ বছর, ৪৮ পৃষ্ঠা | ৳৫,৭৫০ | ৳৮,৬২৫ | ৳১০,৩৫০ |
১০ বছর, ৬৪ পৃষ্ঠা | ৳৮,০৫০ | ৳১০,৯৫০ | ৳১২,৬৫০ |
সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া
নির্ধারিত তারিখে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হোন।
নিচের ধাপগুলো অনুসরণ হবে ।
- কাগজপত্র যাচাই
- ছবি তোলা
- আঙুলের ছাপ
- চোখের স্ক্যান (IRIS)
- স্বাক্ষর গ্রহণ
সাক্ষাৎকার শেষে একটি Acknowledgement Slip দেওয়া হবে, যেটা দিয়ে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন ।
ই-পাসপোর্ট যেভাবে সংগ্রহ করবেন
পাসপোর্ট রেডি হলে SMS বা ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে।
আপনি নিচের তিনটি উপায়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন:
- সরাসরি অফিস থেকে
- কুরিয়ার (যদি সেবাটি নির্বাচিত থাকলে)
- প্রতিনিধির মাধ্যমে (অথরাইজড ফরম পূরণ করে)
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
আমি কি NID ছাড়া ই-পাসপোর্ট করতে পারি?
১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
আমার তথ্য ভুল থাকলে কী করবো?
👉 আবেদন জমা দেওয়ার আগে প্রোফাইল ঠিক করুন। বায়োমেট্রিকের পর সংশোধন সময়সাপেক্ষ।
কতদিনে পাসপোর্ট পাওয়া যায়?
👉 সাধারণ প্রসেসিং – ২১ কার্যদিবস, জরুরি – ১০ দিন, অতি-জরুরি – ২ দিন।
বিদেশ থেকেও কি ই-পাসপোর্ট আবেদন করা যায়?
👉 হ্যাঁ, নির্দিষ্ট দূতাবাসে গিয়ে আবেদন করা যায়। বিস্তারিত এখানে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
✅ সব তথ্য সতর্কভাবে পূরণ করুন
✅ ফরম সাবমিটের আগে পুনরায় যাচাই করুন
✅ কোনো দালালের মাধ্যমে আবেদন না করে নিজেই করুন
✅ ফি প্রদানের রসিদ সংগ্রহে রাখুন
✅ আবেদন নম্বর ও Tracking ID সেভ করে রাখুন
উপসংহার
ই–পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ ও ডিজিটাল হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নিজেই আবেদন করা সম্ভব এবং কোনো দালালের প্রয়োজন নেই। আপনার যদি দ্রুত ও নিরাপদ ভ্রমণের প্রয়োজন হয়, তাহলে আজই ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন।